Header Ads

ইলেকট্রিক শক কি, কেন অনুভূব হয় এবং শক অনুভূব এর জন্য দায়ী কে কারেন্ট নাকি ভোল্টেজ ? বিস্তারিত আলোচনা ।


সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমাদের আজকের আলোচনা । আলোচনার শুরুতে বুঝার চেষ্টা করি ইলেকট্রিক শক কি ?

ইলেকট্রিক শক : ইলেকট্রিক শক হচ্ছে এক ধরনের অনুভূতি যা মানবদেহের কোনো অংশ দিয়ে কারেন্ট প্রবাহের কারনে ঘটে  থাকে । অর্থাৎ মানবদেহের মধ্য দিয়ে কারেন্ট প্রবাহের কারনে আমরা শক অনুভূব করি । এখন প্রশ্ন হচ্ছে কখন মানবদেহের মধ্যে কারেন্ট প্রবাহ হবে  এবং কখন হবে না ? উক্ত প্রশ্নের সহজ উত্তর হচ্ছে যখন কোনো মানুষ সার্কিট সম্পন্ন করবে ঠিক তখনেই শক অনুভূব হবে ।অর্থাৎ কারেন্ট প্রবাহ ঠিক তখনই হয় যখন কারেন্ট প্রবাহের জন্য পথ বা বর্তনী বা সার্কিট তৈরি থাকে । আমরা যদি কোনো তার বা লাইন ধরে সার্কিট বা বর্তনী সম্পন্ন না করি তাহলে শক অনুভূব হবে না । অর্থাৎ সার্কিট সম্পন্ন হওয়ার কারনে শক অনুভূব হয় । আশা করি উপরোক্ত আলোচনা থেকে বুঝতে সক্ষম হয়েছি যে ইলেকট্রিক শক কি এবং কেন শক অনুভূব হয় ।

এবার বুঝার চেষ্টা করি শক অনুভূব হওয়ার জন্য দায়ী কে কারেন্ট নাকি ভোল্টেজ ? সহজভবে বলতে গেলে শক অনুভূব হওয়ার জন্য কারেন্ট এবং ভোল্টেজ উভয় দায়ী । আমার এই উত্তর শুনে অনেকেই একমত হতে পারবেন না । অনেকে বলবেন , না কারেন্ট দায়ী  আবার অনেকে বলবেন ভোল্টেজ দায়ী । একটু ধৈর্য্য ধরে পোস্টটি সম্পন্ন পড়ে তারপর নিজের মতামতের পক্ষে যুক্তি দাড় করাবেন আশা করি ।আমরা সবাই এখন যেকোনো একটি পক্ষে গিয়ে চিন্তা করি এবং যুক্তি দাড় করার জন্য চেষ্টা করি । আমরা ধরে নেই শক অনুভূব হওয়ার জন্য কারেন্ট দায়ী । কেন কারেন্ট দায়ী ? তার উত্তরে আমরা বলতে পারি শকের অনুভূব তখন জাগে যখন মানুষের দেহের মধ্যে দিয়ে কারেন্ট প্রবাহিত হয় । আবার কারেন্ট প্রবাহের কারনে মানবদেহের ক্ষতির পরিমান বেশি হয় । যদি কারেন্ট মানবদেহের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত না হয়  শক অনুভূব হবে না । এবার আমরা দ্বিতীয় পক্ষে গিয়ে চিন্তা করি এবং যুক্তি দাড় করাই । কেন ভোল্টেজ দায়ী ? মানবদেহের মধ্য দিয়ে কারেন্ট প্রবাহের কারনে শকের অনুভূব হয় । আর কারেন্ট প্রবাহ তখনই হবে যখন ভোল্টেজ থাকবে । ভোল্টেজ ছাড়া কারেন্ট কখনো প্রবাহিত হতে পারবে না । আমরা যার সত্যতা পাই ওহমের সূত্র হতে । ওহমের সূত্র  I=V/R , উক্ত সূত্রে  V=0 হলে I=0  হবে । তাই আমরা বলতে চাই শক অনুভূব হওয়ার জন্য ভোল্টেজ দায়ী ।



x


যাইহোক আমরা দুই পক্ষ হয়ে চিন্তা করেছি এবং যুক্তি দাড় করেছি । এখন আমরা প্রকৃত সিদ্ধান্তে পৌছাব । ভোল্টেজ ছাড়া য়েহেতু কারেন্ট প্রবাহ সম্ভব নয় তেমনই কারেন্ট প্রবাহ না হলে শকের অনুভূবও সম্ভব নয় । আবার এটাও সম্ভব নয় ,কারেন্ট ভোল্টেজ উভয় বিদ্যমান কিন্তু সার্কিট সম্পন্ন হয়নি যে শক অনুভূব হবে । তাই আমরা বলতে পারি কারেন্ট ছাড়া ভোল্টেজ  আবার ভোল্টেজ ছাড়া কারেন্ট যেমন চিন্তা করা যায় না তেমনি শক অনুভূবের জন্য এককভাবে কারেন্ট বা ভোল্টেজ কে দায়ী  করা যায় না । অর্থাৎ শক অনুভূবের জন্য কারেন্ট ভোল্টেজ উভয়ই দায়ী  

এত বড় করে ব্যাখ্যা প্রদানের পরও অনেকের মনে আবার প্রশ্ন জাগবে যে শক অনুভূবের জন্য মানবদেহে ক্ষতি সাধন হয় তা কিসের উপর নির্ভর করে । অর্থাৎ ক্ষতির পরিমান কিসের উপর নির্ভর করে করেন্ট নাকি ভোল্টেজ ? ক্ষতির পরিমান নির্ভর করে অনকগুলো বিষয়ের উপর যথা : কারেন্টের ধরন( ডিসি নাকি এসি), কারেন্ট প্রবাহের সময় , মানবদেহের কোন অংশ দিয়ে কারেন্ট প্রবাহিত হচ্ছে  এবং সার্কিট সম্পন্ন হচ্ছে কিনা এসব । যত বেশি ভোল্টেজ উৎপন্ন হবে ঠিক তার অনুপাতিক হারে কারেন্ট প্রবাহ হবে । আবার মানবদেহের মধ্যে যতবেশি কারেন্ট প্রবাহিত হবে ঠিক ততবেশি ক্ষতির সম্মুখিন হতে হবে । অর্থাৎ ক্ষতির পরিমান নির্ভর করে কারেন্টের উপর ।
আশা করি পৌস্টটি পড়ে বুঝতে সক্ষম হব শক কি , কেন অনুভূব হয় এবং শকের জন্য দায়ী কে কারেন্ট নাকি ভোল্টেজ

ধন্যবাদ সবাইকে , আল্লাহ আমাদের সহায় হউক ।

1 comment:

  1. nice
    if you want to get free usa scholarship go this link below
    https://scawab.com/how-to-get-scholarship-in-usa-scholarships-for-usa-study-guide/

    ReplyDelete

Theme images by konradlew. Powered by Blogger.